নিজস্ব প্রতিবেদক : শেষ রক্ষা হলো না ফতুল্লা থানার ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে এসিড নিক্ষেপ করে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার সাথে জড়িত অপরাধীদের।অধিকতর তদন্ত শেষে রফিকুল ইসলাম টিপু ওরফে বরিশাইল্লা টিপুসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা থানায় দায়ের করা এসিড মামলার(মামলা নং-১(১০)১৯) তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।
জানা যায়,পূর্বশত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা মুন্না কে কুপিয়ে ও এসিড দিয়ে ঝলসে হত্যার চেষ্টা চালায় দূর্বৃত্তেরা।এ ঘটনায় মুন্নার ছোট ভাই শাওন বাদী হয়ে বরিশাইল্লা টিপু,সাইফুল,সাগর,কাইয়ুম,ডাকাত রেহান,ও ফেন্সি রাজিবকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির শুরুতে ফতুল্লা থানার তৎকালীন ওসি(আইসিপি) আজগর হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন।পরবর্তীতে মামলাটি পরিবর্তন হয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।পিবিআইতে মামলাটি গেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর জহির মামলাটির তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জহিরের বিরুদ্বে স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ এনে এবং তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন দাবি করে মামলার বাদী স্বরাস্ট্র মন্ত্রালয়,আইজিপি,পিবিআই মহা পরিদর্শক,পুলিশ সুপার সহ সংলিস্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। একই ইস্যুতে এসিড মামলায় কারাগারে আটক আসামী সাইফুলের স্ত্রী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহিরের বিরুদ্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।অভিযোগ রয়েছে মামলার প্রধান আসামী বরিশাইল্লা টিপুর নিকট থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জহির মোটা অংকের অর্থ নিয়ে শুধুমাত্র কারাগারে আটক সাইফুল কে অভিযুক্ত করে এজাহারনামীয় অপর আসামীদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।আর এ কারণে বাদী পিবিআইয়ের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) কে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অধিকতর তদন্ত শেষে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর পোস্ট অফিস রোড এলাকার মৃত আজগর আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম টিপু ওরফে বরিশাইল্লা টিপু,লালপুর পৌষপুকুরপাড় এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র আইয়ুব ওরফে রেডিও চোর আইয়ুব,কাঠেরপুল এলাকার মৃত বজলুল হক মুন্সির পুত্র কারাগারে আটক সাইফুল,বরিশাইল্লা টিপুর দুই ভাগিনা ডাকাত রাজিব ও ফেন্সি রাজিব সহ অপর একজন কে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে এসিডদগ্ধ মুন্না জানান, অভিযুক্তরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো।কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় আমি বেঁচে গেছি।তবে আমার ডান চোখটি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।বাম চোখটিও নষ্ট হবার পথে।অধিকতর তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সঠিক হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করেন।