নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ঘোষিত হয়েছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ঘোষিত ওই কমিটিতে সহসভাপতি পদে রয়েছে ফতুল্লার জনৈক মোস্তফা কামালের নাম। কখনও আওয়ামী লীগ না করা মোস্তফা কিভাবে থানা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা-সমালোচনা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে। ফতুল্লার একাধিক বাসিন্দার সাথে আলাপচারিতায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর আরো বিভিন্ন তথ্য। বিএনপি-জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা হিসেবেও মোস্তফা কামালের নাম আলোচনায় ছিল বরাবরই। ফতুল্লার আলোচিত বিএনপি নেতা তৈয়ব আলীর আপন বেয়াই মোস্তফা কামালকে কখনোই আওয়ামী লীগের কোনোপ্রকার আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচীতে দেখা যায়নি বলে জানান ফতুল্লার একাধিক বাসিন্দা।
শুন্য থেকে রাতারাতি অঢেল সম্পত্তি মালিক হয়ে যাওয়া মোস্তফা একসময় ছিলেন স্পিডবোর্ড চালক। এখন অবশ্য আর সেদিন নেই। অদৃশ্য জাদুর চেরাগে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।
উপজেলার অন্তর্গত এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিরাট সুরম্য কমপ্লেক্স। নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তিও করেছেন অল্প সময়ের ব্যবধানে। দলের নাম ভাঙিয়ে জমির ব্যবসাও করছেন চুটিয়ে। আর সেক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন ক্ষমতার তুঙ্গে থাকা দলের প্রথম সারির নেতাদের নাম।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, দলের সুসময়ের এরকম হাইব্রীড-দলছুট ব্যক্তিদের পদায়ন আখেরে দলের ক্ষতিসাধন করবে। দলের দুঃসময়ে ত্যাগী-নিষ্পেষিত নেতাকর্মীরাই বারবার দলের হাল ধরে এসেছেন, আগামীতেও এর ব্যতিক্রম হবে না। দলের হাইকমান্ড থেকেও বারবার হাইব্রীডদের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করা হচ্ছে কড়া হুশিয়ারি। এতকিছুর পরেও অন্য দলের অর্থ যোগানদাতারা আওয়ামী লীগের পদ পাওয়া সংগঠনের জন্য অশনি সংকেত হিসেবেই দেখছেন তাঁরা।