নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়েছে এরই মধ্যে। কিন্তু সংগঠনটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ফতুল্লা থানা কমিটি গঠিত হছে না এখনো। আন্দোলন-সংগ্রাম কিংবা লোকসমাবেশে বরাবরই অগ্রভাগে থাকা ফতুল্লার নেতাকর্মীরা কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে ভুগছেন হতাশায়। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ। তবে ঠিক কবে নাগাদ কমিটি হবে,সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউই কিছু বলতে পারছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৪ সালে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয়। এতে আবু মোহাম্মদ শরীফুল হককে সভাপতি ও আব্দুল মান্নানকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত তৎকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখার মূল্যায়নস্বরূপ তারাএই দায়িত্ব পান। কমিটি পাওয়ার পরেও তাঁদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
ওই কমিটির বয়স এখন প্রায় দেড় যুগ ছুঁই ছুঁই। লম্বা এই সময়ে ফতুল্লার অনেক শিক্ষার্থীই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। কিন্তু নিয়মিত কমিটি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে ভর করেছে হতাশা। অনেকেই চাপা ক্ষোভ থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন। তবে বর্তমান সভাপতি শরিফুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান একাধিকবার জানিয়েছেন, তাঁরাও চান নতুন নেতৃত্ব আসুক।
ফতুল্লায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় নেতাদের মধ্যে ইমরান হোসেন শুভ, ইমরান হোসেন ইদ্রান, আব্রাহাম পাপ্পু ও রিয়াজ উদ্দিনের নাম উল্লেখযোগ্য। এদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব কর্মীবাহিনী রয়েছে। দলীয় যেকোনো কর্মসূচীতেও দীর্ঘবছর ধরে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাঁদের। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন ফতুল্লায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়।
তবে কমিটি না হওয়ায় প্রত্যেকেই রয়েছেন উৎকণ্ঠায়। বিগত কয়েক বছর ধরে কমিটি হওয়ার আলোচনা থাকলেও তা না হওয়ায় চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অনেকেই মধ্যে। সংগঠনকে গতিশীল ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে অচিরেই ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।