নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি মন্তব্যের জেরে মন্তব্য করে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। গত বছরের ২১ নভেম্বরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে দলকে নিয়ে এক বেফাঁস মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে ক্ষমা চাইলেও ২৪ নভেম্বর তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিঃষ্কার করা হয়। পরে আবারও ক্ষমা চেয়ে কেন্দ্রে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম।
যার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করার কথা জানানো হয়। তবে জাহাঙ্গীর আলমকে এব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে চিঠিতে। ক্ষমার বিষয়টি আমলে নিয়ে পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা প্রদান করা হয়েছে বলে জেনেছি। এব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েও চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তবে সেটি এখনো হাতে পাইনি। এই চিঠি হাতে পাওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতে সংগঠন বিরোধী কোন কর্মকান্ডে যাতে তিনি জড়িত না হন, সে ব্যাপারে তাকে সতর্ক করা হবে। চিঠি হাতে পাওয়ার পরও জাহাঙ্গীর আলমকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও একটি চিঠি দেওয়া হবে।’