নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্ষা মৌসুম শেষ হয়েছে অনেক আগেই। নেই ঝড়- বৃষ্টিও। তবুও পানির নিচে তলিয়ে আছে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশপথের মুখের সড়কটি। বছরের বারো মাসের ছয় মাস পানির নীচে তলিয়ে থাকে দাপাইদ্রাকপুর এলাকার ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গেইট – দাপা কবরস্থান সড়কটি।এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় অনেকেই নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে রাস্তার ছবি সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বায়িত্বহীনতার কথা উল্লেখ্য করে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন।
স্থানীয়দের মতে, পানি নিষ্কাশনের জন্য অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার না করার কারণে বছরের অধিকাংশ সময় রাস্তাটি পানির নীচে তলিয়ে থাকে।ফলে এ রাস্তা দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় কোমলমতি হাজারো ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, দাপা সরদার বাড়ী এলাকার জব্বার ওরফে জব্বার মেম্বার ড্রেন পরিস্কারের নামে বিভিন্ন ডাইং কারখানা থেকে নিয়মিত ভাবে টাকা তুললেও ড্রেন পরিস্কার না করে উত্তোলিত টাকা জব্বার মেম্বার নিজেই তা আত্মসাৎ করেছে।
এছাড়া মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের পড়তে হয় দুর্ভোগে এবং স্কুলের উওর পার্শ্বে একটি কমিনিউটি ক্লিনিক অবস্থিত। এই ক্লিনিকে প্রতিদিন অনেক মানুষ ময়লা পানি পারিয়ে চিকিৎসা নিতে আসে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইট সংলগ্ন রাস্তা থেকে দাপা কবরস্থান পর্যন্ত হাটু সমান পানির নিচে ডুবে আছে।স্থানীয়রা জানায়,বছরের অধিকাংশ সময় রাস্তাটি পানির নিচে ডুবে থাকে।বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে হাটু সমান পানিতে তলিয়ে থাকে রাস্তাটি।
স্থানীয়রা জানায়, পোস্ট অফিস রোডে অবস্থিত দিপ্তী ডাইং,পপুলার ডাইং,অনেস্ট ডাইং সহ বিভিন্ন কল- কারখানার পানি ড্রেন উপচে রাস্তায় চলে আসায় অধিকাংশ সময়ই রাস্তাটি তলিয়ে থাকে পানির নিচে।ক্যামিকেল বর্জ্য মিশ্রিত পানি মাড়িয়ে চলতে গিয়ে পানিবাহী নানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে স্কুলে ছাত্র- ছাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয়দের। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপনকে মৌখিকভাবে অবগত করলেও এখন পর্যন্ত তিনি কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।