নিজস্ব প্রতিবেদক : জনসাধারণের যেকোনো বিপদে, প্রয়োজনে ছুটে আসবেন জনপ্রতিনিধিরা। ধরাবাঁধা সময়ের বেড়াজাল পেরিয়ে, শ্রেণি-পেশার উর্ধ্বে উঠে তিনি হয়ে উঠবেন সকলের, এমনটিই প্রত্যাশা করে থাকেন সকলে। আর সেই প্রত্যাশা নিয়েই ব্যালটে রায় দেন তাঁরা। কিন্তু আশাভঙ্গের গল্পও কম নয়। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েই জনসাধারণের কাছে অস্পৃশ্য হয়ে উঠতে শুরু করেন অনেকে। অসময়ে তো নয়ই, সময়মাফিকও দেখা মেলে না তাদের। তবে কুতুবপুরের ২নং ওয়ার্ডবাসীকে এদিক দিয়ে ভাগ্যবানই বলা চলে। গত পাঁচ বছরে নিজের ব্যতিক্রমী, উদ্ভাবনী, জনঘনিষ্ঠ কার্যক্রম দিয়ে এলাকাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিভিন্ন কারণেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছের জেলা নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বেশি জনবসতিপূর্ণ ইউনিয়ন এটি। এমনকি ঢাকা থেকে দেশের অনেকগুলো জেলায় প্রবেশের এন্ট্রি জোন ব্যবসায়িকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চল। জনপ্রতিনিধিদের কাছে এই অঞ্চলের মানুষের চাওয়াও নেহায়েত কম নয়। তবে এই প্রত্যাশার ভারে আর স্বদিচ্ছার অভাবে অনেক জনপ্রতিনিধিকেই নুইয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু কথা রেখেছেন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার। গত ইউপি নির্বাচনে ভোটের মাঠে এসেই করেন বাজিমাত। এবারও জয়ের পাল্লা তাঁর দিকেই ভারি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টেরা।
জানা গেছে, গত নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন জাহাঙ্গীর মেম্বার। এই মেয়াদে তিনি প্রায় ৫০টি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন রাস্তা, সিসি ঢালাই, আরসিসি ঢালাই, স্লাবসহ পাকা ড্রেন নির্মাণ, রাস্তায় মাটি ভরাট, বক্স-কালভার্ট নির্মাণ, ভূঁইগড় কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ ও কবরস্থানে ১২ টি স্টিক সোলার, তুষারধারা কবরস্থানে ৪ টি স্টিক সোলার, বিভিন্ন মসজিদে উল্লেখযোগ্য অনুদান, বিভিন্ন মসজিদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।
এলাকাবাসীর মতে, অত্র ওয়ার্ডের সর্বকালের সেরা মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি নিজের যোগ্যতার শতভাগ প্রমাণ দিয়েছেন। তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্যই আবারও তাকে নির্বাচিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে কথা হয় মেম্বার জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রাবাস্থায়ই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হই। এরপর আমি পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করি। এরপর সেবা করার উদ্দেশ্য নিয়েই রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হওয়া। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দিতে আমি গর্ববোধ করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বড় পরিসরে জনসেবার উদ্দেশ্য নিয়েই আমি জনপ্রতিনিধি হই। ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচিত হই। এরপর আমার এলাকায় আশাতীত উন্নয়ন হয়েছে। তবে আমার নির্বাচনী এলাকার রাস্তার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বড় হওয়ায় সেই কাজগুলো করতে আমাকে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সীমিত বাজেটও এখানে অন্যতম প্রধান কারণ। তবে আমি মাননীয় সাংসদের কাছে বেশকিছু কাজ জমা দিয়েছি। আশা করছি আশা করছি অচিরেই সেগুলোও সম্পন্ন হবে।’
জনবান্ধব এই ইউপি সদস্য আরো বলেন, ‘মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং নির্মূলেও আমি সক্রিয়। অনেক সময়েই এসবের বিরুদ্ধে আমি অভিযান চালাই। এর ফলে আমাকে মামলার শিকারও হতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমি জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরে ৫০% মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়েছে। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্সে আছি। মুরুব্বি ও জনসাধারণও জানে যে এসবের বিরুদ্ধে আমি কতটা কঠোর। তারা এও জানে রাত দুইটায়ও যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে পাওয়া যাবে।’