নিজস্ব প্রতিবেদক : রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌর ছাত্রদলের নতুন আহবায়ক কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ কমিটির আহবায়ক কাজী রাজন বিবাহিত বলে দাবি করেছে ছাত্রদলের একটি অংশ।এমন ঘটনায় বিবাহিতের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশের পর ছাত্রদল নেতা কাজি রাজনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চাঞ্চল্যকর এমন বিতর্কের পাশাপাশি এবার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ফতুল্লা থানার সদস্য সচিব হয়েছেন রিয়াদ আহমেদ নামে এক ছাত্রদল কর্মী । এমন অভিযোগের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র । ছাত্রদলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের দায়িত্ব থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি রনির একান্ত লোক হওয়ার কারনে ৮ম শ্রেনীও পাস করে নাই এমন লোককে অন্য একজনের সার্টিফিকেট দিয়ে বিশেষ ক্ষমতায় রনি রিয়াদ আহম্মেদকে এই পদে আসিন করেছেন।
জানা যায়, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিয়াদ আহম্মেদ মাদকাসক্তির কারনে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে চিকিৎসাও নিয়েছেন। এছাড়াও তার বিবাহিত হওয়া ও তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার কথাও ছাত্রদল কর্মীদের কাছে জানা যায়।মোটা অংকের অর্থের লেনদেনের বিনিময়ে রনি সাংগঠনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে সদস্য সচিব করে আনেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাশীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন কর্মী জানান যেখানে রিয়াদ আহম্মেদ কখনো এস,এস,সি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণই করেন নাই সেখানে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিবের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার কোন যোগ্যতাই তার নাই। কিন্তু ছাত্রদলে পদ প্রাপ্তির আশায় জেলা সভাপতি রনির পরামর্শে সে অন্য একজনের ভুয়া সাট্রিফিকেট সংগ্রহ করে সেই সার্টিফিকেটের এর নামের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নতুন আইডি খুলেছে রাকিব আহাম্মেদ রিয়াদ নামে। আর মশিউর রহমান রনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক হওয়ার কারনে ছাত্রদলের বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের তদন্তের সময় এই ব্যাপারটা গোপন রেখেই টিমকে বিভ্রান্ত করে তার কাজ হাসিল করে নেয়। একই সাথে রেমন রাজিব নামে অপর একজনকে রনি ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহব্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদ দিয়েছেন যে ব্যাক্তির এস.এস.সি পরিক্ষার সার্টিফিকেট নাই।সম্পর্কে সে মশিউর রহমান রনির বেয়াই সেই কারনেই রনি তাকে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলে সদস্য করেছেন।