হেফাজতে ইসলাম, নারায়ণগঞ্জে একসময়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি সংঘটনের নাম। অথচ আজকাল যেন জৌলুশ হারিয়েছে দলটি। নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের কোন কর্মসূচি কিংবা মাঠ পর্যায়ে কোন কার্যক্রম জনসাধারণের চোখে না পরলেও হঠাৎ করেই দলটির ৩ থেকে ৪ জন নেতা বনে গেছেন অঢেল টাকার মালিক।
গত কয়েক বছরে নারায়ণগঞ্জ হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম সেভাবে কারোই চোখে পরেনি। কিন্তু দলটির ৩ থেকে ৪ জন নেতা হঠাৎ করেই যেন হাতে পেয়েছেন আলাদিনের চেরাগ। কিনেছেন ফ্লাট আর গাড়ি। তবে জানা যায় এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির নজরে এসেছে। এক সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে নারায়ণগঞ্জের ৪ জন নেতার আমূল পরিবর্তনের বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল। দলটির পরের শূরা কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনা হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সরাসরি কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জের একটি আসন থেকে মহানগর হেফাজতে ইসলামের সমন্বয়ক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু নির্বাচনী হাওয়া গড়ানোর সাথে সাথে তাঁর তোড়জোড় বেশি দিন টিকেনি। তবে কি কারণে তিনি নির্বাচন বিমুখী হন তা জানা যায়নি। তবে স্পষ্ট যে নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামির কিছু নেতাদের দলের স্বার্থের থেকেও ব্যক্তিস্বার্থের দিকেই নজর বেশি।
নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনগণের কাছে হেফাজতে ইসলাম অত্যান্ত জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য একটি দলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু সংগঠনটির কিছু স্বার্থ কেন্দ্রিক নেতার কারণে আজ নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে।