নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লার পাগলায় দশ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে বিষয়টি স্থানীয় একটি মহল গোপনে মীমাংসা করেছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার পাগলার পরিত্যক্ত স্টুডিওর ভিতরে।
ঘটনার বিবরণীতে কিশোরীর মা জানান,তার স্বামী নেই।তিনি নিজেই একটি চায়ের দোকান পরিচালনা করে সংসার চালান।চলতি মাসের ৪ তারিখ দুপুর ১২ টার দিকে পপুলার স্টুডিওতে বসবাসকারী আনোয়ার (৪৫) তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে গলায় দা ঠেকিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শসহ পরিধেয় বস্ত্র খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।এ সময় ভয়ে ডাক- চিৎকার শুরু করে অপর দিকে আমার বড় মেয়ে তাকে খুজতে বের হলে ডাক-চিৎকার শুনতে পেয়ে লম্পট আনোয়ারের ঘরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে সে সবকিছু শুনে মান- সন্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে বাসায় চলে আসে।বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার পরদিন (৫এপ্রিল)সন্ধ্যায় এলাকার শাহআলম ও সুমন দাস সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন লোক আমাকে ডেকে নিয়ে যায় মাছ দুলালের বাড়ীর দ্বিতীয় তলায়। সেখানে গোপনে বসে ধর্ষনের চেষ্টাকারী লম্পট আনোয়ারকে ডেকে এনে ঘটনার মীমাংসা করে দেন স্থানীয় যুবক শাহ আলম(মাদক সম্রাট)ও সুমন দাস। এ বিষয়ে শাহআলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সেখানে হঠাৎ করে সেখানে গিয়েছি।সুমন আামাকে ফোন করে সেখানে ডেকে নিয়ে গিয়েছে।পরে ঘটনার বিস্তারিত শুনে লম্পট আনোয়ার কে মারধর করে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সুমন দাস সকল বিষয়ে অবগত রয়েছন বলেই তিনি লাইনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অপর দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, সুমন দাস মিমাংসার কথা স্বীকার করে মুঠোফোন জানান,প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েটিকে একা পেয়ে লম্পট আনোয়ার তার বুকে হাত দেয়া সহ স্পর্শকাতর স্থানে হাত বুলিয়েছিলো এজন্য আনোয়ারকে মারধর করে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষটি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।