নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লার ভোালইলে স্ত্রী জেসমিন আক্তার তামন্না(২২)’র আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলায় স্বামী সোহাগ হোসেন (২৮) কে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার রাতে ফতুল্লার ভোলাইল মরা খালপাড় সংলগ্ন নুর ইসলামের ভাড়াবাড়ি থেকে সোহাগ কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সোহাগ হোসেন (২৪) ঠাকুরগাও জেলার রানীশংকৈল থানার হাসেম মিয়ার ছেলে।
আত্মহননকারী জেসমিন আক্তার তামান্নার বড় বোন নুপুর আক্তার(২৫) বাদী হয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, জেসমিন আক্তার তামান্নাকে ৫ বছর পূর্বে প্রেম করে বিয়ে করে সোহাগ।
৩বছর পূর্বে রাব্বি নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই রাব্বিকে তামান্না তার মায়ের কাছে রেখে ফতুল্লায় চলে এসে গার্মেন্টে চাকুরী নেয়। তামান্নার উপার্জিত অর্থ দিয়েই তাদের স্বামী স্ত্রীর সংসার চলতো।
সোহাগ এক সময় কাজ করলেও গত এক বছরেরও বেশী সময় ধরে সে কাজ না করে বখাটের মত ঘুরে ফিরে চলতো। স্ত্রী তামান্নাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতো।এমনকি শারিরীক ভাবেও নির্যাতন করতো।প্রেম করে বিয়ে করায় সকল অত্যাচার নিরবে সহ্য করে যেতো।
নির্যাতনের বিষয়ে বাসায় কাউকে জানাতোনা।সাম্প্রদায়িক সময়ে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তামান্না গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা গ্রহন করা হয়েছে। সে মামলায় সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে।