বিকাশে ভু’ল করে পাঠানো রংপুরের এক ব্যক্তির ১৯ হাজার ৩৩৩ টাকা ফেরত দিল মৌলভীবাজারের কিশোর পরশ আহমেদ। অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্রের এই সততায় মুগ্ধ টাকা ফেরত পাওয়া ব্যক্তি। এলাকাবাসীও এই কিশোরের সততার প্রশংসা করছে।
পরশের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজে’লার আদমপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম জহির মিয়া। স্থানীয় এম এ ওহাব উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটায় পরশের ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে হঠাৎ চলে আসে ১৯ হাজার ৩৩৩ টাকা। টাকা পেয়ে অবাক পরশ ঘ’টনা বুঝতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও স্থানীয় নৈনারপর এলাকার বিকাশ এজেন্ট স্টুডেন্ট লাইব্রেরিকে বিষয়টি অবহিত করে।
ওই বিকাশ এজেন্ট স’ঙ্গে স’ঙ্গে টাকাটি এসেছে যে নম্বর থেকে, সেখানে কল করে। মুঠোফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, নম্বরটি রংপুরের একজন বিকাশ এজেন্টের। ওবায়দুল হক নামের সেখানকার এক ব্যক্তি ওই বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে টাকাটি একজনকে পাঠাতে গিয়ে ভু’লে আরেক নম্বরে (পরশের) পাঠিয়েছে।
ওবায়দুল হক পরশকে টাকাটি ফেরত দিলে কৃতজ্ঞ থাকবেন জানান। পরশ সঙ্গে সঙ্গে আগপাছ না ভেবে তার এলাকার ওই বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে ওবায়দুল হককে টাকাটি ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
এ সময় ওবায়দুল, ঘ’টনার সা’ক্ষী দুই বিকাশ এজেন্ট, উপস্থিত লোকজন সবাই কিশোর পরশের সততাকে প্রশংসা করেন। টাকা ফেরত পেয়ে মুঠোফোনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল হক বলেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পরশের সততায় তিনি মুগ্ধ। আজকাল মুঠোফোনে ভু’লক্রমে ১০০ টাকা রিচার্জ হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুরোধ করেও সে টাকা ফেরত পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে।
সেখানে একজন কিশোর ছাত্র বিকাশে ১৯ হাজার ৩৩৩ টাকা ফেরত পাঠিয়ে সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ঘ’টনার প্রত্যক্ষদর্শী কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সাব্বির এলাহী বলেন, ছাত্র বলে পরশ সততার আদর্শের পরিচয় দিতে দুবার ভাবেনি।
অন্য কেউ হলে এ রকমটা না–ও করতে পারত। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কমলগঞ্জ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহেল মিয়া বলেন, আজকাল সততার দৃষ্টান্ত খুঁ’জতে হয়। চারপাশে হরহামেশা দেখা মেলা ভার।