নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লায় ব্যাংক কর্মকর্তাকে অপহরন করে নির্যাতন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দীপ্তি মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ শফিউল আজম খোকনকে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত।
সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে হাজির করা হলে শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুর করে শফিউল আজমকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
এরআগে রোববার রাতে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বাবুর বড় ভাই জামাল হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, অগ্রনী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ টানবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শাহাদাৎ হোসেন বাবু ও তার স্ত্রী রওশন আরা তুলি বেগমের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক ও সাংসারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ কারনে শাহাদাৎ হোসেন বাবু মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এতে রওশন আরা তুলি বেগম সরল বিশ্বাসে সুচিকিৎসার জন্য দীপ্তি মাদকাসক্তির সরনাপন্ন হলে তারা শাহাদাৎ হোসেন বাবুকে মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে চিকিৎসার দায়ীত্ব নেয়। এরপর তাকে কলেজ রোড থেকে মাইক্রোতে উঠিয়ে দীপ্তি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে হাত পা বেধে মাথার চুল কেটে ফেলে এবং হাত পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে শাহাদাৎ হোসেন বাবুকে উদ্ধার করেন।
ব্যাংক কর্মকর্তা রওশন আরা তুলি বেগম বলেন, আমার স্বামী শাহাদাৎ হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। দীপ্তি মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ শফিউল আজম খোকন আমার সঙ্গে প্রতারনা করেছে। আমার স্বামী মাদকাসক্ত নয় কিন্তু আমাকে মাদকাসক্ত বলে চিকিৎসার দায়ীত্ব নিয়েছেন। তিনি চিকিৎসা না দিয়ে সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়েছে