চলছে বাঙালির গৌরবের মাস ডিসেম্বর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে নয় মাসের প্রাণপন যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আসে আরাধ্য বিজয়। স্মরণীয় এই দিনটি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাদাত হোসেন সাজনু’র পক্ষ থেকে কুতুবপুরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফি।
এক শুভেচ্ছাবার্তায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও কুতুবপুরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সেই প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই বাংলার মানুষ। ন্যায্য অধিকারের সশস্ত্র সেই সংগ্রামে সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছিল প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এরপর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি বাহিনী; লাল সবুজ পতাকা ওড়ে স্বাধীন ভূমিতে, নতুন দেশে।
তিনি আরো বলেন,’সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি দীর্ঘ তেইশ বছর রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ বিজয় দিবসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ নেতা শফি বলেন,’আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত প্রায় ১২ বছরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্যসহ প্রতিটি সেক্টরে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তৃণমূলের জনগণ আজ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে আমরা জননেতা একেএম শামীম ওসমান এমপির নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ। দেশবিরোধী কোনো চক্রকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে এলাকাবাসীর অনুরোধে আমি ৪ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হবো। এই ওয়ার্ডকে আধুনিক, পরিকল্পিত ও উন্নত করে গড়ে তুলতে আপনাদের সবাইকে পাশে চাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”