বিশেষ প্রতিবেদক: আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ ভরে গেছে সুবিধাবাদে। সুবিধাবাদের চোরাবালিতে নাক ডুবিয়ে বসে আছি আমরা। আমরা কি উঠে আসতে পারবো এই চোরাবালি থেকে নাকি হারিয়ে যাবো সুবিধাবাদের চোরাবালিতে, সেটা ঠিক করতে হবে আমাদেরকেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে চলছে ঠিক তখনই বিএনপি জামায়াত শিবির তাদের লোককে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে কাঁটা গেঁথে দিতে চাইছে। তেমনি এক সুবিধাবাদীর সন্ধান পাওয়া যায় ঢাকার ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে। তিনি উক্ত ইউনিয়নের বিতর্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন সরদার।
প্রভাবশালী বংশে জন্মগ্রহণের ফলে জন্মগতভাবে দাপুটে স্বভাবে চলাই তার অভ্যাস। ক্ষমতার পালাবদলে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন শাখার পদ-পদবি কেনার তদবিরও চালিয়েছেন এই নেতা। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চাকরিতে নিয়োগবাণিজ্য, টেন্ডারবাণিজিসহ সবকিছু নিজেদের আয়ত্বে নিয়েছেন।
স্থানীয় বিশ্বস্ত তথ্যসূত্রে, তিনি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি মাদক ব্যবসায় জড়িত তাদেরই সিন্ডিকেট, এমন অভিযোগও আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাকার জোরে আগামী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বাগিয়ে নিতে চাইছেন নমিনেশন। তিনি এখনো ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় সদস্য থেকেও চাইছেন আওয়ামী লীগের নমিনেশন।
ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা তেমন না থাকায় তিনি এমন ফন্দি তৈরি করেছেন বলে জানায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় তার পিতা মুন্তাজ উদ্দিন ছিলেন ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। পিতার সক্রিয় রাজনীতির কারণে তিনিও ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির সকল মিছিল, মিটিং এর একজন অগ্রসৈনিক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। । বর্তমান সময়ে বিএনপির স্থানীয় নেতারা মোরসালিন সরদারকে নৌকার ঘাড়ে চাপিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার পায়তারা করছেন বলে জানায় স্থানীয় সূত্র।